Medical Tips

কানে কম শোনা সমস্যায় ডিজিটাল সমাধান

Hearing Aid

কানে কম শোনা সমস্যায় ডিজিটাল সমাধানকানে কম শোনা কে বলা হয় শ্রুতিক্ষীণতা বা বধিরতা। শ্রুতিক্ষীণতা একটি রোগের উপসর্গ। কিন্তু শ্রুতিক্ষীণতার মাত্রা বেশি হলে কোন রোগে এর উৎপত্তি তার ঊর্ধ্বে উঠে বধিরতা নিজেই একটি স্বতন্ত্র পরিচয় পায়। বধিরতা একটি শ্রবণ প্রতিবন্ধিতা সৃষ্টিকারী মারাত্মক সমস্যা।

শ্রুতিক্ষীণতাকে মোটামুটি চার ভাগে ভাগ করা যায়। এগুলো হচ্ছে কনডাকটিভ, সেনসরনিউরাল, মিক্সড ও সাইকোজেনিক।

আমরা জানি, কানের তিনটি অংশ আছে, যথা বহিঃকর্ণ, মধ্যকর্ণ ও অন্তঃকর্ণ।

বাংলাদেশে বধিরতার প্রধান কয়েকটি কারণ হচ্ছে মধ্যকর্ণের প্রদাহ, যার মধ্যে রয়েছে কানপাকা রোগ এবং মধ্যকর্ণে ইফিউশন বা আঠালো পদার্থ জমা হওয়া; কানে খৈল, উচ্চ শব্দজনিত বধিরতা ও জন্মগত বধিরতা ইত্যাদি।

বধিরতার ওপরের কারণ পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, প্রায় ৫০ শতাংশ ক্ষেত্রে বধিরতা প্রতিরোধযোগ্য। 

বধিরতা সন্দেহ হলে কী করবেন প্রথমেই কাছের হাসপাতালের ইএনটি বিভাগে রোগী দেখাতে হবে অথবা একজন নাক কান গলা রোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে। ডাক্তার সাহেব বধিরতা কখন কিভাবে শুরু হয়েছে তার ইতিহাস নেবেন, সাথে কানে ভোঁ ভোঁ শব্দ, মাথা ঘোরা আছে কি না তার খোঁজ নেবেন।

পূর্ণ নাক কান গলা পরীক্ষা এবং বেশির ভাগ ক্ষেরেূপাঁচ-সাত বছরের ঊর্ধ্বের বয়সী রোগীর টিউনিং ফর্ক টেস্ট করবেন, প্রয়োজনে অডিওলজিক্যাল টেস্ট করাবেন। কোন রোগে বধিরতা হচ্ছে সেটা নির্ণয়ের প্রয়োজনে আরো দু-একটি টেস্ট লাগতে পারে। নিউরোলজিস্ট, সাইকোলজিস্টসহ অন্যান্য বিশেষজ্ঞের পরামর্শ লাগতে পারে।

অডিটরি পুনর্বাসন বধিরতার পুনর্বাসনের প্রধান মাধ্যম হচ্ছে হিয়ারিং এইড বা শ্রুতিযন্ত্রের ব্যবহার।

Digital Hearing Aid

হিয়ারিং এইড কত প্রকার হয়?

শ্রুতিযন্ত্র তিন ধরনের হয়ে থাকে যথা ‘বডিওর্ন’, ‘বিহাইন্ড দি ইয়ার’ ও ‘ইন দি ক্যানেল’। বডিওর্ন টাইপে তার দেখা যায় বলে অনেকে লজ্জা পায় তবে এই টাইপের দাম কম। ‘বিহাইন্ড দি ইয়ার’ কানের পেছনে ঝুলে থাকে এবং লম্বা চুলের মধ্যে লুকিয়ে রাখা যায় ও মোটামুটি ভালো মানের এইড 10 থেকে 15 হাজার টাকার মধ্যে পাওয়া যায়। ‘ইন দি ক্যানেল’ শ্রুতিযন্ত্র কানের নালীপথে ঢুকানো থাকে এবং বাইরে থেকে সাধারণত দেখা যায় না। ঢাকার বিভিন্ন অডিওলজি সেন্টারে এর নিম্নমূল্য 40 হাজার টাকার মতো।

শ্রুতিযন্ত্রের মূল্য কোম্পানি ও মান অনুযায়ী ওঠানামা করে।

কানে কম শুনা জীবনের অনেক বড় সমস্যা। ভালো মানের হিয়ারিং এইড ব্যাবহারের মাধ্যমে কানে শুনা যায় তাই আপনার ডাক্তারের পরামর্শে হিয়ারিং এইড ব্যাবহার করুন আর বধিরতা কে বিদায় জানিয়ে দিন।

হিয়ারিং এইড কোথায় পাওয়া যায় ?

ঢাকা শহরের বিভিন্ন হিয়ারিং সেন্টার গুলোতে ভালো মানের হিয়ারিং এইড পাওয়া যায়.
ভালো মানের হিয়ারিং এইড কম দামে পেতে হলে আলিফ সার্জিকালে আসুন। এখানে গ্যারান্টি যুক্ত আধুনিক ডিজাইনের হিয়ারিং এইড গুলো পাবেন।

ঠিকানা:
আলিফ সার্জিক্যাল
পল্ট: সি/৩৫,পূরবী সুপার মার্কেট (দ্বিতীয় তলা)
মেইন রোড,মিরপুর-১১,পল্লবী, ঢাকা ১২১৬
টেলিফোনঃ ০২-৪১০০০২৮৬
মোবাইল: ০১৭১৩-৯৯২৪৭২

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *